সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি 2023 – ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুযায়ী

পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ)। রমজান জুড়ে এশার নামাজ শেষে তারাবিহ নামাজ আদায় করবেন সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর সুবহে সাদিকের আগে খাবেন সেহরি। সেহেরি থেকে শুরু করে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করবেন সূর্যাস্তের সময়। তাই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জেনে রাখা প্রয়োজন। সারাদেশের বিভিন্ন জেলার সেহেরি ও ইফতারের সময়সূচি আলাদা।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রথম রোজার সেহরি ও ইফতারের সময়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত ৪টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যাবে। ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ৪৫ মিনিটে। এছাড়া শুক্রবার (২৪ মার্চ) ইফতার হবে ৬টা ১৪ মিনিটে। এটি শুধু ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য।

 

সারাদেশের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি 2023 - ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি 2023 - ইসলামিক ফাউন্ডেশন

রোজার নিয়ত বাংলা ও আরবি 

সেহরি খাওয়ার পর রোজা রাখার নিয়ত করতে হয়। রোজা রাখার আরবি নিয়ত:

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলিম।

অর্থ: হে আল্লাহ, আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসে তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

বাংলায় রোজার নিয়ত: হে আল্লাহ! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের ফরজ রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার পক্ষ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।

ইফতারের দোয়া

ইফতার করার আগে ইফতার সামনে নিয়ে এই দোয়া পড়তে হয়:

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি।

ইফতারের বাংলা নিয়ত: হে আল্লাহ, আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমজানের ফরজ রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনে রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার শুরু করছি। তারপর ‘বিসমিল্লাহি ওয়াআলা বারাকাতিল্লাহ’ বলে ইফতার করা।

রমজান মাসের ফজিলত

বছর ঘুরে রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে আবারো এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। শুরু হলো সংযম সাধনার মাস। খোশ আমদেদ মাহে রমজান, আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের সেরা সময়।

এই মাসের ফজিলত অনেক, আর এই ফজিলত পবিত্র কোরান শরীফ, হাদিস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। ইত্তেফাক পাঠকদের জন্য এই ফজিলতের কিছু বাণী তুলে ধরা হলো।

‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার’: আল কুরআন। ‘রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত’: আল হাদিস

‘ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন’: আল হাদিস। ‘রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়’: আল হাদিস। ‘রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়’: আল হাদিস। ‘রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল’: আল হাদিস।

‘রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ’: আল হাদিস। ‘রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম’: আল হাদিস। ‘রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে’: আল হাদিস

About admin

Check Also

Ramadan Benefits And Importance in Our Life

Ramadan Benefits And Importance in Our Life

When Rasulullah Sallallahu Alayhi Wasallam went to Taif to preach, the people of Taif stoned …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *