দরিদ্র ও মেধাবীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি বিতরণের পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। এ লক্ষ্যে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়। বর্তমানে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৩ সালে ভর্তিকৃত দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তার আবেদন অনলাইনে দাখিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রান্ট কর্তৃক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিকে ১১ শ্রেণিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হয়।
একাদশ শ্রেণির ভর্তি সহায়তা আবেদন এর লিংক
ভর্তি সহায়তা প্রাপ্তির জন্য ১১শ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে http://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission -এ লিংকে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে ।
ভর্তি সহায়তা আবেদন এর সময়সীমা
এমতাবস্থায়, ই-ভর্তি সহায়তা ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ০১/০৩/২০২৩ থেকে ৩০/০৩/২০২৩ খ্রি: তারিখ সময়ের মধ্যে সিস্টেম ব্যবহার করে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ভর্তি সহায়তা প্রদান নির্দেশিকা-২০২০
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ছবি
- স্বাক্ষর
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে)
- পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র/সুপারিশ (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
ভর্তি সহায়তা প্রাপ্তির সময়সীমা
- আবেদনের প্রাপ্তির ০৪-০৬ মাস পর অর্থ প্রেরণ করা হয়।
- শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার নির্বাচিত হলে তাঁর মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভর্তি সহায়তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র
একাদশ শ্রেণীর ভর্তি সহায়তার আবেদন প্রক্রিয়া
ধাপ ০১:
আবেদন করার জন্য প্রথমে “রেজিষ্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করুন এবং চিত্র ০১-এ প্রদর্শিত তথ্য সঠিকভাবে পুরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর পূর্ণ নাম, অভিভাবকের পূর্ণ নাম, শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর (১৭ ডিজিডের জন্ম সনদ নম্বর), জন্ম তারিখ দিন এবং জেন্ডার সিলেক্ট করতে হবে। এবার স্থায়ী ঠিকানা বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/উপজেলা (যে কোন একটি বাছাই করুন যারা পৌরসভা/উপজেলা সিলেক্ট করবেন তাদের সিটি কর্পোরেশন বাটনের প্রয়োজন নেই), পৌরসভা/উপজেলা, ইউনিয়ন/ওয়ার্ভ পুরণ করতে হবে। তারপর যোগাযোগের তথ্য (মোবাইল নম্বর সবসময় সচল রাখতে হবে) ই-মেইল (যদি থাকে), মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, পাসওয়ার্ড নিশ্চিতকরুণ। উক্ত ফরমের সকল তথ্য সঠিকভাবে করতে থাকলে “I Am Not A Robot” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ০২:
আবেদনের দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষার্থীকর্তৃক প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে একটি “Verification” কোড (কোডটি পেতে ২-৩ মিনিট সময় লাগতে পারে) যাবে। কোডটি চিত্র ০২- এ প্রদর্শিত নির্ধারিত ঘরে প্রদান করে “আমি রোবট নই” বাটনে ক্লিক করে “জমা দিন” বাটনে ক্লিক হবে।
ধাপ ০৩ঃ
ভর্তি সহায়তার আবেদন ২০২৩
ধাপ ০৬:
আবেদনের পঞ্চম ধাপে চিত্র ০৫ এ প্রদর্শিত সকল তথ্য সঠিক ভাবে পুরন করুন।
সাধারণ তথ্য : বিজ্ঞপ্তির নম্বর, শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং শিক্ষার্থীর নাম সয়ংক্রিয়ভাবে দেয়া থাকবে। এবার শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে), শিক্ষার্থীর পিতার নাম, পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মাতার নাম, মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ, জেন্ডার, বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/উপজেলা (যে কোন একটি বাছাই করুন যারা পৌরসভা/উপজেলা সিলেক্ট করবেন তাদের সিটি কর্পোরেশন বাটনের প্রয়োজন নেই), পৌরসভা/উপজেলা, ইউনিয়ন/ওয়ার্ভ এবং গ্রাম নাম লিখতে হবে।
অভিভাবকের তথ্য : কোটা প্রেতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, নদীভাঙগন কবলিত এলাকা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবাবেরর সদস্য যে কোন একটি সিলেক্ট করতে হবে), অভিভাবকের পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জমির পরিমাণ, বার্ষিক আয় এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা দিতে করতে হবে।
ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের তথ্য : ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের বিভাগ, জেলা, উপজেলা, শিক্ষা স্তর, ভর্তিকৃত শ্রেণি, ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের নাম, ইআইআইএন নম্বর, সর্বশেষ পঠিত শ্রেণি ভের্তিকৃত শ্রেণির পূর্বের শ্রেণি), জিপিএ স্কেল এবং সর্বশেষ পরীক্ষায় প্রান্ত জিপিএ প্রদান করতে হবে।
ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের তথ্য: ব্যাংকিং এর ধরণ (মোবাইল ব্যাংকিং/ সাধারণ ব্যাংকিং যে কোনো একটি) সিলেক্ট করতে হবে। যদি সাধারণ ব্যাংকিং হয় সে ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাবের ধরণ (চলতি, সঞ্চয়ী, অন্যান্য যে কোনো একটি), একাউন্ট কার (যার একান্ট নম্বর ব্যবহার করছেন যেমন, নিজ/পিতা/মাতা/ভাই/বোন), ব্যাংকের নাম (বিকাশ, রকেট, নগট, উপায়), ব্যাংকের শাখা, একাউন্টের নাম ব্যোংক একাউন্টটি যার নামে খোলা হয়েছে তার ইংরেজীতে লিখতে হবে), একাউন্টের নম্বর এবং হিসাবধারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করতে হবে। আর যদি মোবাইল ব্যাংকিং হয় সেক্ষেত্রে একাউন্ট কার (যার একান্ট নম্বর ব্যবহার করছেন যেমন, (নিজ/পিতা/মাতা/ভাই/বোন), ব্যাংকের নাম, জেলা, ব্যাংকের শাখা, একাউন্টের নাম ব্যোংক একাউন্টটি যার নামে খোলা হয়েছে তার ইংরেজীতে লিখতে হবে), একাউন্টের নম্বর এবং হিসাবধারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রদান করে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করতে হবে।