শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের নীতিমালা (সংশোধিত-২০২০)

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের নীতিমালা (সংশোধিত-২০২০)

মাধ্যমিক’ ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় ১২৫০১০১-১২০০০১৫১৩-কোডে বরাদ্দকৃত অর্থ উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে বিতরণের লক্ষ্যে নিম্নরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের নীতিমালা ২০২২

শিরোনাম:

এ নীতিমালা মাধামিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা (সংশোধিত-২০২০)” নামে অভিহিত হবে।

পরিধি:

এ নীতিমালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ মঞ্জুরি বরাদ্দের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেট (১২৫০১০১-১২০০০১৫১৩- নং কোডের) ক্ষেত্রে অনুসৃত হবে।

আবেদন প্রেরণ, গ্রহণ এবং যাচাই প্রক্রিয়া:

(ক) অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবেদন গ্রহণের তারিখ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবহিত করা হবে।

(খ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে প্রা্ট আবেদনসমূহ মাধ্যমিক ও উজ্ড শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটি যাচাই-বাছাইপূর্ক মঞ্জুরি প্রাপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/শিক্ষক-কর্মচারী/ছাত্র-ছাত্রীর তালিকা চূড়ান্ত করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের নিমিত্ত পেশ করবে।

অনুদান প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি গঠন:

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই কমিটি:

১.সচিব কর্তৃক মনোনীত অতিরিক্ত সচিব/যুশ্ম সচিব আহ্বায়ক

২. যুগ্ম সচিঝ/উপসচিব প্রশাসন্) সদস্য

৩. উপসচিঝ/সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন ও সংস্থাপন) সদস্য

৪. মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিপ জধিদস্তর এর উপধুক প্রতিনিধি (পরিচালক পর্যায়ের) সদস্য

৫. পরিচালক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সদস্য

৬. উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব (বাজেট) সদস্য সচিব

অর্থ প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্তাদি:

ক) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে স্বীকৃতি প্রাপ্ত বেসরকারি সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও) বুঝাবে। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সংগ্রহ, খেলাধুলার সরঞ্জাম সংগ্রহ, প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী বান্ধব করাসহ পাঠাগারের জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ অথচ প্রতিষ্ঠানের লেখাগড়ার মান ভাল, এরুপ প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে;

খ) শিক্ষক-কর্মচারী বলতে বেসরকারি সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও) শিক্ষক- কর্মচারী বুঝাবে। শিক্ষক-কর্মচারীগণ তাঁদের দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার জন্য মঞ্জুরি আবেদন করতে পারবেন;

গ) ছাত্রছাত্রী বলতে সরকারি বা বেসরকারি স্বীকৃতিত্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও) ছাত্রছাত্রী বুঝাবে। তারা দুরারোগ্য ব্যাধি, দৈব দুর্ঘটনার এবং শিক্ষা গ্রহণ কাজে ব্যয়ের জন্য মঞ্ুরির আবেদন করতে পারবে। তবে এ বিশেষ অনুদান প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রদানের ক্ষেত্রে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, অসহায়, রোগগ্রস্থ, গরীব, মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়, অনগ্রসর এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে;

ঘ) কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী অনুদানের অর্থ প্রাপ্ত হলে পরবর্তী ০২ (দুই) বছর এবং ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষেত্রে পরবর্তী ০১ (এক) বছর অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবে না।

অনুদান প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ের পদ্ধতি ও শর্তাদি:

ক) বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি [ব্যবস্থাপনা] কমিটির সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ খরচ করতে হবে;

খ) অর্থ প্রাপ্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে অর্থ ব্যয় করতে হবে। অর্থ ব্যয়ের ১ (এক) মাসের মধ্যে সম্পাদিত কাজের ছবিসহ অর্থ ব্যয়ের প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে আর্থিক অনুদান পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে;

গ) উক্ত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোন প্রকারের অনিয়ম/অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এম.পি.ও,/ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিলসহ বিধি মোতাবেক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;

ঘ) শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে;

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরে প্রদান করা হবে।

READ MORE: EMIS সফটওয়্যারে ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট IMS মডিউল এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদানের নিয়ম

অনুদান প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্ত অর্থের শ্রেণী ভিত্তিক বিভাজন:

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় (কোড নং: ১২৫০১০১- ১২০০০১৫১৩-) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ মঞ্জুরি বাবদ অর্থ নিম্নোক্তভাবে বন্টন করা হবে;

১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০%

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ১০%

৩. সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ৭০%

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপবরাদ্দকৃত অর্থের বিভাজন:

১. নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সমমানের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০%

২. মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সমমানের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৬০%

৩. বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং ডিগ্রী কলেজ ৩০%

অনুদান প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবরাদ্দকৃত অর্থের বিভাজন:

১. ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র/ছাত্রী ৩৫%

২. ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রী ২৫%

৩. একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রী ২০%

৪. স্নাতক ও তদুর্ধ ২০%

কোন ক্যাটাগরিতে যথোপযুক্ত প্রস্তাব পাওয়া না গেলে এ ক্যাটাগরির উদৃত অর্থ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিতরণ করতে হবে। 

একক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ),

একজন শিক্ষক-কর্মচারীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) এবং ছাত্/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।

ক) মাধ্যমিকের জন্য ৮,০০০/- (আট হাজার),

(খ) উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ৯০০০/- নেয় হাজার),

গ) স্নাতক/সমমান/তদুর্ধ এর জন্য-  ১০,০০০/- (দশ হাজার)-টাকু মঞ্জুর রুরা যাবে।

অনুদান প্রদানের নীতিমালার অন্যান্য শর্ত

১। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেয়া অর্থ এককালীন মঞ্জুরি হিসাবে এবং শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রদানকৃত অর্থ অনুদান হিসাবে গণ্য হবে।

২। বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। বিজ্ঞপ্তির কপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এবং একটি বাংলা ও একটি ইংরেজী জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তির কগি জেলা প্রশাসক এবং জেলা শিক্ষা অফিসারকে দিতে হবে। জেলা শিক্ষা অফিসার জেলার সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করবেন।

৩। অনুমোদিত নীতিমালা মাধামিক ও উচ্চ শিক্ষা ব্ভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগ, অধীন অধিদপ্তর-দপ্তর- সংস্থায় এবং জেলা প্রশাসকের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হবে৷

৪। নীতিমালায় যা থাকুক না কেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ বিবেচনায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এ খাত থেক অর্থ মঞ্জুর করতে পারবে।

৪।  আবেদন/সুপারিশকে অর্থ প্রাপ্তির অধিকার হিসাবে গণ্য করা যাবে না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ 2022

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের নীতিমালা (সংশোধিত-২০২০)

আর্থিক অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২১ এর সংশোধনী আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা মাধ্যমিকের আর্থিক অনুদান নিতে আগ্রহী তারা আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আর্থিক অনুদানের আবেদন এর তারিখ ঘোষনা হলে আমরা আবেদন এর লিংক সহ প্রকাশ করবো। মাধ্যমিক শিক্ষকদের আর্থিক অনুদান ২০২৩ এর আবেদন গ্রহণ এর তারিখ খুব দ্রুতই প্রকাশ করা হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *