গ্রহদের নিয়ে প্যারেডের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চাঁদ। উত্তর গোলার্ধের দিগন্তে গতকাল ২৩ এপ্রিল থেকে দৃশ্যমান হচ্ছে মহাজাগতিক এই দৃশ্য।
আজ পরিপূর্ণভাবে একটাকে খালি চোখে দেখা গেছে।
সৌরজগতের দৃশ্যমান পাঁচ গ্রহের মধ্যে শনি, মঙ্গল, শুক্র এবং বৃহস্পতি ইতোমধ্যে চাঁদের পেছনে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছে। মা হাঁসের পেছনে বাচ্চারা যেভাবে হাঁটে, দৃশ্যটা অনেকটা সে রকম। জুনের মাঝামাঝি যোগ দেবে বুধ।চাঁদ ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সারির ওপরে থাকবে। তবে চারটি গ্রহ জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত তাদের মহাজাগতিক রেখায় অবস্থান করবে। সমতল অবস্থায় ১০ জুন থেকে এই রেখায় দেখা যাবে বুধকে।
‘গ্রহগুলোকে পূর্ব থেকে দক্ষিণে এগিয়ে যেতে দেখা যাবে। জুনের শেষ দিকে সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যাবে পাঁচ গ্রহকে।’
সারিবদ্ধকরণের সময় ইউরেনাস ও নেপচুন অবস্থান করবে উত্তর গোলার্ধে। ইউরেনাস থাকবে বুধ ও মঙ্গল গ্রহের মাঝখানে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই দৃশ্য দেখা যাবে।
‘নিকষ অন্ধকারে খালি চোখেই দেখা যেতে পারে এদের। দুরবিন থাকলে দৃশ্যটা আরও স্পষ্ট হবে। টেলিস্কোপ ছাড়া নেপচুনকে দেখা যাবে না। গ্রহ দেখার এটি একটি দুর্দান্ত সময় হবে।
গ্রহগুলো এমন আচরণ অস্বাভাবিক কিছু না। তবে এগুলো নিয়মিত ঘটনাও না। শেষবার এই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। তার আগে ২০১৬ এবং ২০০৫ সালে সারিবদ্ধ হয়েছিল গ্রহগুলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে নানান মন্তব্য করেন এই দৃশ্য দেখে। কয়েকজন এর মতামত তুলে ধরা হলো –
আবুল হাসান লিখেছেন – চাঁদ আর শুক্র গ্রহের এমন অবস্থান সত্যি বিরল এবং অসাধারণ একটি দৃশ্য! এটি দেখতে অনেকটা আরবি হরফ “বা” এর মতো।
বাবু খান লিখেছেন – চাঁদ এবং শুক্র গ্রহ!
সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে দুদিন বয়সের চাঁদ ও তার নিচে একটা তারা দেখা গেছে। এটা তারা নয়, খালি চোখে দৃশ্যমান সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ। মানে শুক্র গ্রহ বা Venus, সন্ধ্যায় যার নাম সন্ধ্যা তারা। শুক্র আসলে চাঁদের পেছনে ঢাকা পড়েছিল এবং যখন দেখা যায় মাগরিবের সময়, তখন সে বেরিয়ে আসছে। চাঁদ দিয়ে শুক্রের গ্রহণ! চাঁদ, শুক্র ও পৃথিবী কক্ষপথে একই সরলরেখায় আসছিল আজ। জ্যোতির্বিদ্যায় যা syzygy নামে পরিচিত। এটা মাঝে মাঝেই হয়। তবে শুক্রের উজ্জ্বলতা বেশি বলে আজ বেশি নজরে এসেছে।
Ata keno hoye ta ekmatro mohan allah jane