পাঁচটি দাবিতে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সমাবেশ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে সমাবেশ করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। সরকারিকরণসহ মোট পাঁচটি দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সংগঠন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ। র‌্যালিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতি ও সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দও অংশ নেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিষদের সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে শিক্ষকরা পাঁচ দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো, প্রধান শিক্ষক ও উপ-প্রধান শিক্ষকদের যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম গ্রেড প্রদান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের চাকরি জীবনে দুটি উচ্চতর স্কেল সুস্পষ্ট ঘোষণা, পূর্ণ উৎসব ভাতা, ঐচ্ছিক স্থানান্তর ব্যবস্থা চালু এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারীকরণ। মাধ্যমিক স্তরে।

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সমাবেশ

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মূল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী, সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম অপু, সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, বাবু রামচন্দ্র মিত্র, ফেরদৌস প্রমুখ। হেলাল, আবদুর রশিদসহ আরও অনেকে।

সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান পরিষদের সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সীমাহীন অর্থনৈতিক সমস্যা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষাকে সরকারি করেছেন। অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ কারণেই বারবার আক্ষেপের সঙ্গে বলতে শোনা যায়, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে শিক্ষাক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর হতো। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করছেন, তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারিকরণের মাধ্যমে জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজকে অব্যাহত রাখবেন।

পাঁচটি দাবিতে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সমাবেশ

কয়েকদিন ধরে শিক্ষক সংগঠনগুলো সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একটি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী অংশ নেন। দীপু মনি বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সবার আগে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান যাচাই করতে হবে, সরকারের পর শিক্ষার মান কি কমেছে? বাড়েনি? শিক্ষার মান উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য। দ্বিতীয়ত, সারাদেশে এতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করার ক্ষমতা সরকারের থাকা উচিত।

Sourece- Dainikshikkha

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *