সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং নীতিমালা ও গ্রেডিং ছক পূরণের নির্দেশনা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং নীতিমালা ও গ্রেডিং ছক পূরণের নির্দেশনা

বাংলাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে গুণগত মান অনুযায়ী চারটি (এ,বি,সি,ডি) শ্রেণিতে বিন্যস্ত করার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে। একেই বলা হয় বিদ্যালয় গ্রেডিং। প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শ্রেণিভূক্তকরণের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠবে। এতে কোন্‌ বিদ্যালয়ের মান কোন্‌ পর্যায়ে তা জানা সম্ভব হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিচালন বা উন্নয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেডিং কী?

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেডিং হচ্ছে বিদ্যালয় সমূহকে তার গুণগত মান অনুযায়ী বিভক্ত করা। অর্থাৎ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, অবস্থান ও বিদ্যালয়ের ফলাফল অনুযায়ী মোট ৪ টি গ্রেডে বিভক্ত করা হয়। বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহ মানের দিক থেকে যথাক্রমে A B C ও D এই চারটি গ্রেডে বিন্যস্ত। সকল ক্যাটাগরির গুনাবলী অর্জন করতে পারলে বিদ্যালয় সমূহ A ক্যাটাগরির বলে বিবেচিত হবে।

গ্রেডিং নীতিমালার নম্বর

সকল বিদ্যালয়ের ১১টি ক্ষেত্রের ১০৯ টি বিষয় অনুপুঙ্খ যাচাইপূর্বক ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক’ এ যথাযথ নম্বর প্রদান করা হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ের এসব ক্ষেত্র যাচাই বাছাই করার জন্য কমিটি রয়েছে। তারা গ্রডিং ছকে সকল বিষয়ে যথাযথ যাচাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নম্বর প্রদান করবেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গুণগত মান নিরূপণপূর্বক এ,বি,সি,ডি গ্রেডিং এর জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক ২২/১০/১৯৯৭ খ্রি. তারিখে প্রাগবি প্রশা-৪/৪ঘ-১/৯৭/৭৯৬ নং স্মারকে নীতিমালা আকারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বর্ণিত নীতিমালায় উল্লিখিত কিছু আবশ্যিকভাবে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফলে বিদ্যমান নীতিমালা যুগোপযোগী করা অপরিহার্য হওয়ায় পরিমার্জিত নীতিমালা জারি করা হলো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং নীতিমালা

  • পরিমার্জিত নীতিমালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মান যাচাইয়ের জন্য ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক’- এ ১১টি ক্ষেত্রে ১০৯ টি প্রণয়ন করা হয়েছে।
  • প্রণীত নতুন ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক’ ও ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক পূরণ নির্দেশিকা” অনুসরণপূর্বক দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মানের ত্রমানুযায়ী এ.বি,সি,ডি শ্রেণিতে গ্রেডিং করতে হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং মূল্যায়ন উপ-কমিটি

নিম্নবর্ণিত তিন (৩) সদস্যের উপ-কমিটি প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মূল্যায়ন করবে;

ক) সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার- আহ্বায়ক

খ) সহকারি ইসসট্রা্টর (ইউআরসি)/ নিকটবর্তী অন্য বিদ্যালয়ের এস.এম.সি. সভাপতি (১ জন) সদস্য,

গ) প্রধান শিক্ষক (নিকটবর্তী অন্য বিদ্যালয়, ১ জন) – সদস্য

উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করবেন।

উপ-কমিটির কর্মপরিধি:

ক. উপ-কমিটি যৌথভাবে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক পূরণ নির্দেশিকা” অনুসরণে বিদ্যালয়ের প্রতিটি বিষয় (১১টি ক্ষেত্রের ১০৯টি বিষয়) অনুপুঙ্খ যাচাইপূর্বক ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক’ এ যথাযথ নশ্বর প্রদান করবে।

খ. উপ-কমিটি প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মূল্যায়ন করে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক’ এ স্বাক্ষর প্রদান করত: উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করবে ।

গ্রেডিং মূল্যায়ন উপ-কমিটির কর্মপরিকল্পনা

১. উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার উপ-কমিটি কর্তৃক মূল্যায়িত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের গ্রেড চূড়ান্ত করার জন্য উপজেলা/থানা শিক্ষা কমিটিতে উপস্থাপন করবেন।

২. উপজেলা/থানা শিক্ষা কমিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেড (এ,বি,সি,ডি) চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবে ।

৩. উপজেলা/থানা শিক্ষা কমিটির অনুমোদনের পর উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেড সম্পকীয় অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সহ সকলকে অবহিত করবেন।

৫। উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারগণ ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে জুন মাসের মধ্যে উপজেলা/থানার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেডিং সম্পন্ন করবেন। 

৬। পরবর্তীতে প্রতি ০২ (দুই) বৎসর পর পর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়কালের মধ্যে আবশ্যিকভাবে পূর্বোল্লিখিত পদ্ধতিতে সকল বিদ্যালয়ের গ্রেড পুন: মূল্যায়ন করতে হবে।

৭। উপজেলা/থানা শিক্ষা কমিটির অনুমোদনের পর উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক বিদ্যালয়ের গ্রেড উন্নয়ন বা অবনমনের আদেশ জারি করতে হবে ।

গ্রেড উন্নয়নের নম্বর

গ্রেড উন্নয়নের ক্ষেত্রে “প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক”- এর ৩, ৪, ৫ ও ৭ নং ক্রমিকের বিপরীতে যথাক্রমে ন্যুনতম ৪৮, ২৬, ১৪ ও ৪২ নম্বর পেতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেড উন্নয়ন বা অবনমন উভয় ক্ষেত্রেই আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করতে হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং নীতিমালা ও গ্রেডিং ছক পূরণের নির্দেশনা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং নীতিমালা ও গ্রেডিং ছক পূরণের নির্দেশনা

প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং ছক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেডিং ১১ টি ক্যাটাগরির মোট ১০৯ টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়। নিচে ১১ ক্যাটাগরি ও ১০৯ টি বিষয় দেয়া হলোঃ

১.০ অবকাঠামো (স্কোর-৩৮):

অবকাঠামোর উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৩৮। অবোকাঠামোর জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

১.১ বিদ্যালয়ের জমি
১.২ বিদ্যালয়ের মাঠ/ আঙ্গিনা
১.৩ বিদ্যালয় ভবন ও শ্রেণিকক্ষ
১.৪ প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ
১.৫ উপকরণ কক্ষ ও লাইব্রেরি
১.৬ আসবাবপত্র
১.৭ নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা
১.৮ টয়লেট ও ওয়াশবøক/ ওয়াশরুম
১.৯ সীমানা প্রাচীর
১.১০ গেট ও নামফলক

২.০ বিদ্যালয়ের পরিবেশ (স্কোর-২৮);

বিদ্যালয়ের পরিবেশের উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ২৮। বিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

২.১ জাতীয় পতাকা
২.২ বৃক্ষরোপন
২.৩ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও কক্ষসমূহের পরিচ্ছন্নতা
২.৪ ফুলেরবাগান
২.৫ শিশুবান্ধব খেলনাসামগ্রী, ছবি ও বাণী দ্বারা শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ
২.৬ ভবন ও এর শ্রেণিকক্ষের নামকরণ
২.৭ টয়লেট ও ওয়াশব্লক/ ওয়াশরুমের পরিচ্ছন্নতা

৩.০ নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা (স্কোর-৭২);

নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৭২। নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

৩.১ স্টাফ মিটিং
৩.২ পাক্ষিক সভা
৩.৩ বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন
৩.৪ বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা ও ক্লাশ রুটিন প্রণয়ন
৩.৫ আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ
৩.৬ রেজিস্ট্রার ও রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ
৩.৭ মনিটরিং বোর্ড
৩.৮ সিটিজেন’স চার্টার
৩.৯ স্কুল সময় সূচি লেখা
৩.১০ প্রধান শিক্ষকের অনার বোর্ড ও শিক্ষক পরিচিতি বোর্ড
৩.১১ নোটিশ বোর্ড
৩.১২ শিক্ষকদের এসিআর প্রদান
৩.১৩ স্লিপ কার্যক্রম
৩.১৪ প্রধান শিক্ষকের জনসংযোগ
৩.১৫ প্রধানশিক্ষক কর্তৃক একাডেমিক সুপারভিশন
৩.১৬ ক্যাচমেন্ট এলাকার ম্যাপ
৩.১৭ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা
৩.১৮ প্রধান শিক্ষকের সৃজনশীলতা

৪.০ শিক্ষক মূল্যায়ন ( স্কোর-৩৯);

শিক্ষক মূল্যায়নের উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৩৯। শিক্ষক মূল্যায়নের জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

৪.১ শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা
৪.২ শোভনীয় ও পরিচ্ছন্ন পোষাক পরিচ্ছদ
৪.৩ নৈমিত্তিক ছুটি ভোগের প্রবণতা
৪.৪ হোমভিজিট
৪.৫ শিক্ষক যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা
৪.৬ শিক্ষক -শিক্ষার্থী সম্পর্ক
৪.৭ শিক্ষকদের পারস্পারিক সম্পর্ক
৪.৮ শিক্ষকগণের জনসংযোগ
৪.৯ শিক্ষকগণের সৃজনশীলতা
৪.১০ আত্ম মূল্যায়ন/ স্ব-অনুচিন্তন

৫.০ শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ( স্কোর-২১);

শিক্ষার্থী মূল্যায়নের উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ২১। শিক্ষার্থী মূল্যায়নের জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

৫.১ সময়ানুবর্তিতা
৫.২ শৃঙ্খলা ও আচরণ
৫.৩ শিক্ষার্থীদের পোষাক (ইউনিফর্ম)
৫.৪ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা
৫.৫ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা
৫.৬ স্টুডেন্ট কাউন্সিল

৬.০ শিক্ষার্থী সংক্রান্ত তথ্য (স্কোর-৪০);

শিক্ষার্থী সংক্রান্ত তথ্যর উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৪০। শিক্ষার্থী সংক্রান্ত তথ্যর জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

৬.১ ক্যাচমেন্ট এলাকার শিশু জরিপ
৬.২ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা
৬.৩ উপস্থিতির গড় হার
৬.৪ ঝরে পড়ার হার
৬.৫ পুনরাবৃত্তির হার
৬.৬ সাময়িক/ পার্বিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় গড় উপস্থিতির হার
৬.৭ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উপস্থিতির হার
৬.৮ সমাপনী পরীক্ষায় অ+ গ্রেড প্রাপ্তির হার
৬.৯ প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমাপনের হার
৬.১০ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত

৭.০ শিখন- শেখানো কার্যাবলী (স্কোর-৬৩);

শিখন- শেখানো কার্যাবলীর উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৬৩। শিখন- শেখানো কার্যাবলীর জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

৭.১ শ্রেণি ব্যবস্থাপনা
৭.২ বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা এবং ক্লাশ রুটি অনুসরণ
৭.৩ শিক্ষকগণের বিষয়জ্ঞান
৭.৪ শিক্ষকের পাঠপূর্ব প্রস্তুতি
৭.৫ দৈনিক পাঠটীকা প্রণয়ন ও ব্যবহার
৭.৬ শ্রেণিকক্ষে উপকরণ ব্যবহার
৭.৭ শিক্ষার্থী কেন্দ্রিকশিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা
৭.৮ শ্রেণি কার্যক্রমে ভাষার ব্যবহার
৭.৯ শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতা
৭.১০ শিখনফল অর্জন
৭.১১ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর প্রতি মনোযোগ
৭.১২ নিয়মিত পাঠ মূল্যায়ন
৭.১৩ নিরাময়মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
৭.১৪ অধ্যায়ভিত্তিক/ সাপ্তাহিক/ পাক্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ
৭.১৫ শারীরিক ও মানসিক শাস্তি
৭.১৬ শিক্ষার্থীদের পাঠ সংশ্লিষ্ট সৃজনশীল কাজ প্রদর্শন

৮.০ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী (স্কোর-৩৮);

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৩৮। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

৮.১ দৈনিক সমাবেশ
৮.২ জাতীয় দিবস উদ্যাপন
৮.৩ সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে সাংস্কৃতিক চর্চা
৮.৪ খেলাধুলার নিয়মিত অনুশীলন
৮.৫ বনভোজন/ শিক্ষা সফর/ বার্ষিকমিলাদ/ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন
৮.৬ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগমফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ
৮.৭ কাব স্কাউটিং
৮.৮ দেয়ালপত্রিকা/ ম্যাগাজিন প্রকাশ
৮.৯ সম্পূরক পঠন সামগ্রীর (ঝজগ) ব্যবহার
৮.১০ সামাজিক কাজ
মোট স্কোর

৯.০ সমাজ সম্পৃক্তকরণ (স্কোর-১৬);

সমাজ সম্পৃক্তকরণ এর উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ১৬। সমাজ সম্পৃক্তকরণ এর জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

৯.১ এসএমসি সভা
৯.২ পিটিএ সভা
৯.৩ সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ
৯.৪ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ

১০.০ বিদ্যালয়ের বিশেষ কৃতিত্ব (স্কোর-৩৭);

বিদ্যালয়ের বিশেষ কৃতিত্বর উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৩৭। বিদ্যালয়ের বিশেষ কৃতিত্বর জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

১০.১ শ্রেষ্ঠ শিক্ষক/ শিক্ষিকা নির্বাচন
১০.২ শ্রেষ্ঠ এসএমসি নির্বাচন
১০.৩ শ্রেষ্ঠ কাব সংগঠক নির্বাচন
১০.৪ শ্রেষ্ঠ কাব নির্বাচন
১০.৫ ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সক্ষম হিসেবে নির্বাচিত বিদ্যালয়
১০.৬ সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার হিসাবে নির্বাচিত বিদ্যালয়
১০.৭ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টে কৃতিত্ব
১০.৮ আন্তঃ বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব
১০.৯ আন্তঃ বিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব
১০.১০ প্রাথমিক বৃত্তি প্রাপ্তি
মোট স্কোর

১১.০ বিবিধ (স্কোর-৮);

বিবিধ বিষয়ের উপর বিদ্যালয় গ্রেডিং এর জন্য মোট স্কোর রাখা হয়েছে ৮। বিবিধ বিষয়ের জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা হয়-

১১.১ স্টুডেন্ট স্ক্রিনিং
১১.২ শুদ্ধাচার কৌশল
১১.৩ উদ্ভাবনী কার্যক্রম
১১.৪ মিড ডে মিল
১১.৫ বাল্য বিবাহ রোধে গৃহীত কার্যক্রম
১১.৬ ক্ষুদে ডাক্তার
১১.৭ হাতের লেখা সুন্দরের প্রতিযোগিতা
১১.৮ ছাত্র ব্রিগেড

উপরোক্ত নীতিমালার আলোকে সারা বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রেডিং নির্ধারণ করা হবে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সকল খবর সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *