মাতৃত্বকালীন ছুটি সাধারণত মহিলা কর্মকর্তা কর্মচারীগণের প্রসূতি কালীন দেয়া হয়। এই ছুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছাড়াও সকল সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ তাদের সন্তান জন্ম দেয়ার আগে নিয়ে থাকেন।আজ আমরা আলোচনা করবো মাতৃত্বকালীন ছুটি কবে কিভাবে নিতে পারবেন। এছাড়া এই ছুটির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ও ছুটি শেষে যোগদানের আবেদন লেখার নিয়মও জানিয়ে দেয়া হবে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন।
মাতৃত্বকালীন ছুটি
মহিলা সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পূর্ণ বেতনে ছুটি গ্রহণের তারিখ হতে অথবা সন্তান প্রসবের জন্য যে ছুটি পেয়ে থাকেন, তাই মাতৃত্বকালীন ছুটি।
মাতৃত্বকালীন ছুটি কতদিন
গর্ভবর্তী হওয়ার পর যে তারিখ হতে ছুটিতে যাওয়ার আবেদন করবেন সেই তারিখ হতে ৬ (ছয়) মাসের ছুটি প্রাপ্য হবেন।
মাতৃত্বকালীন ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হবে সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে প্রবেশের তারিখ।সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্বের যে কোন তারিখ হতে এই ছুটির আবেদন করা যাবে।অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হবে আতুর ঘরে প্রবেশের তারিখ।
উল্লেখ্য যে, গর্ভবর্তী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারের সার্টিফিকেট সহ আবেদন করা হলে এবং আবেদনকারীর আবেদন ২ বারের বেশি না হলে আবেদন মঞ্জুর না করার কিংবা আবেদনকৃত ৬ (ছয়) মাস অপেক্ষা কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার বা ছুটি শুরুর তারিখ পরিবর্তন করার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নেই। বিএসআর-১৯৭(১)
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাতৃত্বকালীন ছুটির নিয়ম
মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ হবে মোট ৬ মাস। একজন মহিলা শিক্ষক বা কর্মচারী সন্তান সম্ভবা মা যে তারিখ হইতে ছুটিতে যাওয়ার আবেদন করবেন, তাকে ওই তারিখ হতেই ৬ মাসের ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। তবে সন্তান প্রসবের দিন হবে ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ।
মাতৃত্বকালীন ছুটির সঙ্গে অন্যান্য ছুটি মঞ্জুর এর বিধান
চিকিৎসকের সার্টিফিকেটসহ আবেদন করলে প্রসুতি ছুটির সাথে অন্য যে কোন প্রকার ছুটি যথা পূর্ণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি, অর্ধগড় বেতনে অর্জিত ছুটি, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা বেতনে ছুটি ধারাবাহিকতা মঞ্জুর করা যায়।
প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরকারি কর্তৃপক্ষ
গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ৷
অস্থায়ী কর্মচারির প্রসুতি ছুটি
অস্থায়ী কর্মচারী ও স্থায়ী কর্মচারীর অনুরূপ সময় পর্যন্ত প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য হইবে। তবে অস্থায়ী কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ সন্তান প্রসবের তারিখে ন্যূনতম ৯ (নয়) মাস হইতে হইবে। বি এস আর-১৯৭(২) এর নোট এবং এফ আর এর এস আর-২৬৭ এর সরকারী সিদ্ধান্ত
আরো পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩
মহিলা শিক্ষানবীশিন (Lady Apprentices ) এবং পার্ট-টাইম মহিলা ল’ অফিসার প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য হইবেন। এফ আর এর এস আর-২৬৭ এর সরকারী সিদ্ধান্ত ।
মাতৃত্বকালীন ছুটির বেতন
প্রসূতিকালীন ছুটিতে যাওয়ার পূর্বে কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী যে হারে বেতন ভাতা প্রাপ্য হতেন সেই হারে মাতৃত্বকালীন ছুটির বেতন ভাতা প্রাপ্য হবে।
মাতৃত্বকালীন ছুটির দরখাস্ত
বরাবর
মহাপরিচালক
——,
— বাংলাদেশ।
বিষয়: প্রসুতি ছুটির জন্য আবেদন পত্র ।
মহোদয়,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমার ডাক্তারী সনদপত্র অনুযায়ী প্রসূতির
জন্য ——– তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে (ডাক্তারী সনদ সংযুক্ত)। সেই অনুযায়ী আগামী —– ইং তারিখ হইতে —- ইং তারিখ পর্যন্ত মোট ০৬ (ছয়) মাস প্রসূতিকালীন ছুটি প্রয়োজন।
অতএব, আমাকে আগামী ——খ্রিঃ তারিখ হতে —— খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত মোট ০৬ (ছয়) মাসের প্রসূতিকালীন ছুটি মঞ্জুর পূর্বক অফিস ত্যাগের অনুমতিদানে মহোদয়ের সদয় মর্জি হয়।
নিবেদক
নামঃ
পদবী:
তারিখঃ
ছুটিকালীন ঠিকানা:
ছুটির পর যোগদানের জন্য যোগদান পত্র লেখার নিয়ম
বরাবর
মহাপরিচালক
……………
বিষয়ঃ মাতৃত্বকালীন ছুটির পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, যে,আমি মোছাঃ ——………… কার্যালয়ে কর্মরত আছি। গত — তারিখের……………………………. নম্বর স্মারক মোতাবেক — হতে — তারিখ পর্যন্ত ছয় (৬) মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ শেষে —- খ্রিঃ তারিখে,আমি কর্মস্থলে যোগদান করতে ইচ্ছুক।
এমতাবস্থায়, আমার যোগদানের পত্রটি গ্রহণ করে যোগদানের অনুমতি প্রদান করতে জনাবের সদয় মর্জি হয়।
আপনার অনুগত
নামঃ
স্বাক্ষর।
পদবীঃ
তারিখ: